ফৌজদারি মামলা কি - ফৌজদারি মামলার বিচার পদ্ধতি কি জানুন

ফৌজদারি মামলা কি - ফৌজদারি মামলার বিচার পদ্ধতি

আমরা জানি যে, মামলা বা মকদ্দমা সাধারণত দুই প্রকার। একটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা আর অপরটি হচ্ছে দেওয়ানী মামলা। আজকের এই পোষ্টে আমি দেওয়ানী মামলা সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য দেবো না। তবে ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। তাই যারা ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে জানতে চান যেমন, ফৌজদারি মামলা কি? ফৌজদারি মামলা কত প্রকার ও কি কি ? ফৌজদারি মামলার বিচার পদ্ধতি কি ইত্যাদি। তাদেরকে অনুরোধ করবো সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন তাহলে এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে বিস্তারিত শুরু করা যাক-

Table of Contents

ফৌজদারি মামলা কি?

দ'ন্ড মূলক আইনে বর্ণিত অপ'রাধ সম্পর্কিত কোন মামলা শুনতে ও সিন্ধান্ত নিতে এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত ফৌজদারি আদালত নামে পরিচিত। ফৌজদারি কার্যবিধির ৬ ধারায় ফৌজদারি আদালত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

অন্যভাবে বলতে গেলে চু'রি, ডা'কা'তি, প্রতা'রণা ধ'র্ষ'ণ, অপ'হর'ণ, খু'ন, য'খ'ম ইদ্যাদি বিষয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে যখন কোন মামলা দায়ের করা হয় তখন তাকে ফৌজদারি মামলা বলা হয়। একটি ফৌজদারি মামলা শেষ হতে অনেকগুলো ধাপ পার করে তারপর মামলার রায় সম্পন্ন হয়।

ফৌজদারি মামলা কত প্রকার ও কি কি?

ফৌজদারি মামলা প্রধাণত ৩ প্রকার। জি আর মামলা, সি আর মামলা এবং নন-জি আর মামলা। আমরা এই তিন ধরণের মামলা সম্পর্কে সংক্ষেপে একটু জানবো। 

জি আর মামলা কি?

জি আর মামলা বা G.R Case শব্দের সম্পূর্ণ রুপ হচ্ছে General Register Case। জি আর মামলা করতে হলে অবশ্যই থানায় গিয়ে করতে হয়। অর্থাৎ থানায় গিয়ে আমলযোগ্য কোন অপ'রাধ সম্পর্কে লিখিত বা মৌখিকভাবে মামলা দায়ের করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার বিধান অনুযায়ী বিষয়টি লিপিবদ্ধ করে সংবাদাতার স্বাক্ষর গ্রহণ করে F.I.R বা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে।

সি আর মামলা কি?

সি আর মামলা বা C.R Case শব্দের সম্পূর্ণ রুপ হচ্ছে Complaint Register Case। সি  আর মামলাকে নালিশি মামলাও বলা হয়ে থাকে। সি আর মামলা আদালতে গিয়ে করতে হয়। অর্থাৎ যে কোন আমলযোগ্য বা আমল অযোগ্য অপ'রাধ সম্পর্কে যদি আদালতে কোন নালিশ দেয়া হয় এবং আদালত সেটিকে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে তাহলে তাকে সি আর মামলা বলে।

নন-জি আর মামলা কি?

নন-জি আর বা Non-G.R Case এর পূর্ণ রুপ হচ্ছে Non-General Register Case। নন-জি আর মামলা থানায় গিয়ে দায়ের করতে হয়। যদি কোন ব্যক্তি থানায় গিয়ে আমল অযোগ্য কোন অপরাধ সম্পর্কে মামলা দায়ের করে এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটিকে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে লিপিবদ্ধ করে রাখেন তাহলে সেটিকে নন-জি আর মামলা বলে। নন- জি আর মামলার বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় না।

ফৌজদারি মামলার বিচার পদ্ধতি

ফৌজদারি মামলার বিচার পদ্ধতি ৩ টি ধাপে সম্পন্ন হয়। একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা থেকে শুরু করে শেষ হতে যে তিনটি ধাপ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-

  • প্রাক বিচার পর্ব বা Pre-Trail Stage
  • বিচার পর্ব বা Trail Stage
  • বিচার পরবর্তী পর্ব বা Post-Trail Stage

মামলার প্রাক বিচার পর্ব বা Pre-Trail Stage

প্রাক বিচার পর্বে বা Pre-Trail Stage এ মামলা দায়ের থেকে শুরু করে মামলার বিচার কাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মুলত দুইটি উপায়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায়। প্রথমটি হচ্ছে থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের (জি আর মামলা) এবং দ্বিতীয় হচ্ছে আদালতে (সি আর মামলা)।

থানায় মামলা দায়ের হয় এফ.আই.আর (FIR) রেকর্ড করার মাধ্যমে। আর FIR রেকর্ড করা হয় অভি'যোগ বা এজাহার এর উপর ভিত্তি করে এবং এটিকে জি আর মামলা বলে।

আর আদালতে মামলা দায়ের করা হয় অভি'যোগ বা Complaint পিটিশন দাখিলের মাধ্যমে এবং এই সকল মামলাকে সি আর মামলা বলা হয়ে থাকে।

থানায় মামলা দায়ের হওয়ার সাথে সাথে তদন্তের কাজ শুরু হয়। তদন্তকারী কর্তকর্তা তদন্তের কাজ শেষ করে যদি চার্জশীট দাখিল করে তাহলে এই চার্জশীটের ভিত্তিতে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট অপ'রাধ আমলে নিয়ে নেয়। 

আর যদি আদালতে মামলা দায়ের করা হয় তাহলে আদালত অভিযোগটিকে তদন্ত করার জন্য যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট পাঠাতে পারে। তারপর তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কিংবা মামলা দায়ের করার সময় ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত সরাসরি অপরাধটি আমলে নিতে পারে।

অপ'রাধ আমলে নেয়ার পরে কোর্টে শুরু হয় মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করার কাজ। আসামী যদি এর মধ্যে গ্রেফতার হয় অথবা আদালতে এসে নিজে থেকেই আত্মসমর্পন করে তবে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।

আর যদি আসামী পলা'তক থাকে তবে প্রথমে Arrest Warrant বের হয় তারপর হুলিয়া এবং ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়। এই হুলিয়া ও ক্রোককের ইংরেজি শব্দ হচ্ছে Proclamation & Attachment বা P & A।

এর পরেও যদি আসামী আদালতে হাজির না হয় তবে একটি বা দুইটি দৈনিক পত্রিকায় আসামীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরেও যদি আসমী পলা'তক থাকে তাহলে আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশ দিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করা হয়। 

আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কে বলা হয় Trail in Absentia। আর এভাবেই বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় মামলাটি এবং একে বলা হয় Ready for Trail।

আরো পড়ুনঃ

মামলার বিচার পর্ব বা Trail Stage

মামলা বিচার পর্ব সম্পন্ন করতে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নিম্নে সেই ধাপগুলো সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো-

চার্জ বা অভিযোগ গঠন

আসামীর বিরুদ্ধে চাজ ফ্রেম বা অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে একটি ফৌজদারি মামলার বিচার পর্ব বা Trail Stage শুরু হয়। অভিয়োগ গঠনের মানে হচ্ছে, অভিযোগে যা যা বলা হয়েছে তার ভিত্তিতে কোন ্আইনের কোন ধারার অপ'রাধ সংঘটিত হয় তা নির্ণয় করা। 

চার্জ বা অভযোগ গঠন করার পর তা আসামীকে পড়ে শোনানো হয় এবং ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয়। এরপর আসামী জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি দোষ স্বীকার করছেন কি না।

সাধারণত এই পর্যায়ে আসমী দোষ স্বীকার করে না বরং নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে থাকে। তবে দোষ স্বীকার করলে আসামীকে তখনই দ'ন্ড দেয়ার মাধ্যমে শেষ হয়ে যেতে পারে একটি ফৌজদারি মামলার বিচার কাজ। 

আসামী যদি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করে তখন ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত বিচারের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করেন। আর অভিযোগকারী পক্ষ বা রাষ্ট্র পক্ষকে স্বাক্ষী উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দেয়।

অভিযোগকারী পক্ষকে আদালতে প্রসিকিউশন বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। ফৌজদারি মামলায় অভিযোগকারী পক্ষকে এই প্রসিকিউশনের কাজটি পরিচালনা করে থাকেন পাবলিক প্রসিকিউটর।

পাবলিক প্রসিকিউটরকে সংক্ষেপে বলা হয় পি.পি। পি.পি'র অধীনে থাকেন একাধিক এডিশনাল পি. পি এবং এ্যাসিসটেন্ট পি.পি.।

অভিযোগকারীর স্বাক্ষী পরীক্ষা

চার্জ বা অভিযোগ গঠনের পরে শুরু হয় অভিযোগকারী পক্ষের স্বাক্ষী উপস্থাপন পর্ব। আদালতে অভিযোগকারী পক্ষের সাক্ষীদের বলা হয় Prosecution Witness বা P.W।

সাক্ষী উপস্থাপন করা হলে স্বাক্ষী প্রথমে তার জবানবন্দি প্রদান করে। তারপর আসামী বা আসামী কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবি সাক্ষীকে জেরা করে থাকেন। এই জবানবন্দি ও জেরাকে আইনি ভাষায় বলা হয় স্বাক্ষীর পরীক্ষা বা Examination of Witness। 

আসামীর পরীক্ষা

এর পর অভিযোগকারীর পক্ষ যে সাক্ষ্য বা প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছে তার মধ্যে যে যে সাক্ষ্য প্রমাণ আসামীর বিরুদ্ধে যায় তার একটি সারমর্ম তৈরী করে আসামীকে পড়ে শোনানো হয়। এই আনুষ্ঠানিকতাকে বলা হয় আসামী পরীক্ষা বা Examination of Accused। 

এই আসমী পরীক্ষার কাজটি করা হয় Criminal Procedure Code বা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারার বিধান অনুযায়ী।

আর এই ধারাটির ইংরেজি নাম ধরেই এই পর্বকে বলা হয় Three Forty Two (342)। এই Three Forty Two এর সময় অর্থাৎ আসামী পরীক্ষার সময় আসামী যদি পুনরায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করে। তখন আসামীর নিকট জানতে চাওয়া হয় এই নির্দোষ দাবীর সমর্থনে তিনি কোন সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করবেন কি না। 

তাছাড়া কোন কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট দাখিল করবেন কি না। এই সময়ও আসামী তার দোষ স্বীকার করে নিতে পারে। আসামী দোষ স্বীকার করলে আসামীকে তখনই দ'ন্ড দেয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে একটি ফৌজদারি মামলার কাজ।

সাফাই স্বাক্ষী পরীক্ষা

আর আসামী যদি দোষ স্বীকার না করে সাফাই সাক্ষী পরীক্ষা করবে বলে জানায় তাহলে সাফাই সাক্ষী পরীক্ষার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সাফাই সাক্ষী উপস্থিত করা হলে অভিযোগকারীর পক্ষের সাক্ষীর মতই এই সাক্ষীকেও একইভাবে পরীক্ষা করা হয়। 

অর্থাৎ প্রথমে সাফাই সাক্ষী তার জবানবন্দি প্রদান করে। তারপর অভিযোগকারী পক্ষ থেকে তাকে জেরা করা হয়। আদালতে সাফাই সাক্ষীকে বলা হয় Defence Witness বা D.W। আসামী সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করলে সাফাই সাক্ষীর পরীক্ষা শেষ হয়।

যুক্তিতর্ক বা আর্গুমেন্ট উপস্থাপন

আর যদি আসামী সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করবে না বলে জানায় তখন সরাসরি যুক্তি তর্ক বা আর্গুমেন্টের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। যুক্তিতর্ক বা আর্গুমেন্ট শেষ হওয়ার পর ওই দিনই কিংবা পরবর্তীতে কোন তারিখে মামলার রায় প্রচার করা হয়।

মামলার রায় প্রচার

আর এই রায় প্রচারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ফৌজদারি মামালার বিচার পর্ব বা Trail Stage। এই রায় আসামীকে যেমন দোষীসাব্যস্ত করা হয় তেমনি নির্দোষ সাব্যস্তপূর্বক খালাস প্রদান করা হতে পারে আসামীকে। 

মামলার বিচার পরবর্তী পর্ব বা Post-Trail Stage

ফৌজদারি মামলার রায় প্রকাশের পর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। সেই আপিলের রায়ও যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে পুনরায় আর আপিল করা যায় না। তবে দায়রা আদালত কিংবা মহামান্য হাইকোর্টে রিভিশনের মামলা দায়ের করা যায়।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

অধিকাংশ মামলাই কিন্ত এই ধাপে যায় না। তবে যদি রায়ে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তখন প্রায় প্রতিটি মামলাতে আসামী পক্ষ তার দেয়া দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে থাকে। আবার আসামীকে যদি শাস্তি কম দেয়া হয় কিংবা খালাস প্রদান করা হয় তাহলে অভিযোগকারী পক্ষ বা রাষ্ট্র পক্ষ আপিল করতে পারেন। যদিও খুব কম ক্ষেত্রেই এটা হয়ে থাকে। 

আপিল দায়ের করা হলে আদালত শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করে। উক্ত ধার্যকৃত তারিখে শুনানির পর ওই দিনই কিংবা পরবর্তী কোন তারিখে আপিলের রায় ঘোষণা করেন।

রিভিশন মামলা দায়ের

আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আর দ্বিতীয়বার আপিল করা যায় না। সেক্ষেত্রে আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে দায়রা আদালত কিংবা হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশন দায়ের করা যায়।

তবে হাইকোর্ট বিভাগ যদি আপিলে দায়রা ্আদালতের মৃ'ত্যুদ'ন্ডাদেশ বহাল রাখেন তখন কেবলমাত্র দ্বিতীয়বার আপিল দায়ের করা যায়। যেটা করতে হয় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে। এছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা দায়ের করতে হয়।

এই রিভিশন বা আপিলের রায়ের মধ্য দিয়েই শেষ হয় একটি ফৌজদারি মামলার তৃতীয় পর্ব। অর্থাৎ বিচার পরিবর্তী পর্ব বা Post Trail Stage পর্বটি।

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় যে, একটি ফৌজদারি মামালার বিচার কাজ প্রধানত তিনটি ধাপে শেষ হয়। প্রাক বিচার পর্ব বা Pre-Trail Stage, বিচার পর্ব বা Trail Stage, বিচার পরবর্তী পর্ব বা Post-Trail Stage। যদি আপনি কোন ফৌজদারি মামলার সাথে যুক্ত হতে যান তাহলে এই পোষ্টটি আপনার একটু হলেও উপকারে আসবে। তাছাড়া এই বিষয়ে যদি আরো তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই কোন বিজ্ঞ আইজীবির সহায়তা নিতে পারেন। 

এতক্ষণ ধরে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ফৌজদারি মামলা কি, ফোজদারি মামলার বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে অন্যদের অবগত করার জন্য অবশ্যই পোষ্টটি শেয়ার করবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে ততক্ষণ সকলে ভালো থাকবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন