অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য  আবেদন

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দুই ভাবে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করা যায়। প্রথমত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হয়। আর দ্বিতীয়ত অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করা যায়। অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করার চেয়ে অনলাইনে আবেদন করার সুবিধাজনক। এতে সময় এবং শ্রম উভয়ই কম লাগে। আজকে আমরা অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। 

তাই আপনারা যারা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন তারা সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে থাকুন। আমি আবেদন করার প্রত্যেকটি ধাপ সম্পর্কে ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করবো। ফলে আপনি নিজেই নিজের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার আবেদন করতে পারবেন। 

সেই সাথে আরো জানতে পারবেন কারা নতুন ভোটার হতে পারবে, ভোটার হতে কি কি লাগে, ফরমের কোথায় কার স্বাক্ষর নিতে হবে ইত্যাদি। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক-

Table of Contents

অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন পদ্ধতি

অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। আপনারা নিম্নে উল্লেখিত প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করলে মাত্র কয়েক মিনিটেই কোন প্রকার ভুল ছাড়া আবেদন করে ফেলতে পারবেন। 

Services Nidw Gov BD সাইটে প্রবেশ

Services nidw gov bd

অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে হলে প্রথমে আমাদের Bangladesh Nid Application System এর ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd এই ঠিকানায় ভিজিট করতে হবে। এই ঠিকানায় ভিজিট করলে উপরের নমুনা ছবির মত একটি একটি পেজ আসবে। আমি দেখানোর সুবিধার্থে কম্পিউটার থেকে স্ক্রিনশর্ট নিয়েছি।

Nid Application System এর ওয়েবসাইটে আসার পর আমাদের আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পেজটি লোড হয়ে নিচের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। 

Nid একাউন্ট নিবন্ধন

Nid Account Registration

Nid Account নিবন্ধনের পেজে আসার পর সর্বপ্রথম ইংরেজিতে আপনার সম্পূর্ণ নাম লিখতে হবে। যেমনটি আপনার সার্টিফিকেট কিংবা ডকুমেন্টে রয়েছে এবং কোন প্রকার ভুল করা যাবে না। 

তারপরের ঘরে জন্ম তারিখ লিখবেন। তারপরের ঘরে ক্যাপচা কোডটি লিখে বহাল বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে পেজটি লোড হয়ে পর্যায়ক্রমে নিচের নমুনা ছবির মত মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করার পেজ আসবে।

নতুন ভোটার আবেদন মোবাইল নম্বর ভেরিফাই

নতুন ভোটার মোবাইল নম্বর ভেরিফাই

১ নং নমুনা ছবির মত পেজ আসলে আপনার সঠিক মোবাইল নম্বরটি লিখবেন। তারপর বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ২ নং নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। সেই সাথে আপনার মোবাইলে একটি যাচাইকরণ কোড আসবে। 

কোর্ডটি সঠিকভাবে লিখে বহাল বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে পেজটি লোড হয়ে পাসওয়ার্ড সেট করার অপশনে নিয়ে যাবে। 

নতুন ভোটার আবেদন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট

নতুন ভোটার একাউন্ট ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট

ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করার পেজে আসার পর প্রথম ঘরে আপনার পছন্দমত একটি ইউজারনেম লিখবেন। তারপরের ঘরে একটি পাসওয়ার্ড লিখে দেবেন এবং সেই একই পাসওয়ার্ড পুনারায় পাসওয়ার্ড লিখুন এই ঘরে লিখবেন। তারপর বহাল বাটনে ক্লিক করে দেবেন। তাহলে ভোটার আবেদন করার জন্য একাউন্ট তৈরী করা হয়ে যাবে এবং পেজটি লোড হয়ে নিচের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে। 

নতুন ভোটার একাউন্ট ড্যাশবোর্ড

নতুন ভোটার একাউন্ট

নতুন ভোটার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড একদম খালি থাকবে। আমারা এখন প্রোফাইল অপশনে গিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানার তথ্য দিয়ে প্রোফাইলটি সম্পন্ন করতে করবো। তাই এখান থেকে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করতে হবে, তারপর এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।। তাহলে পেজটি লোড হয়ে অনেক বড় একটি ফরম আসবে। 

নতুন ভোটার আবেদন ফরম পূরণ

নতুন ভোটার আবেদন ফরম পূরণ

নতুন ভোটার হতে গেলে ফরমে অনেকগুলো তথ্য যেমন ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, ঠিকানা ইদ্যাদি লেখার দরকার হয়। সেই কারণে ্এই ফরমটিও বেশ বড়। এখনে ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, ঠিকানা এই তিনটি অপশন রয়েছে। প্রথমে ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে।  

নতুন ভোটার আবেদন ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ

ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে রয়েছে আবেদনকারীর বাংলা নাম, ইংরেজি নাম লেখাই থাববে, লিঙ্গ, র'ক্তের গ্রুপ, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জাতীয়তা ইত্যাদি লিখতে হবে। তবে ইংরেজি নামের মত জন্ম তারিখটি আগেই লেখা থাকবে। নতুন করে আর লেখা লাগবে না। 

তারপর পিতার তথ্য ও মাতার তথ্য লিখতে হবে। পিতার নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখতে হবে। তারপর পিতার এনআইডি কার্ডের নম্বর লিখতে হবে। পিতা যদি মৃ'ত হন তাহলে মৃ'ত অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে মৃ'ত্যুর সন লিখে দিতে হবে। 

অনুরুপ ভাবে মাতার তথ্যগুলো লিখতে হবে। মাতার নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখতে হবে। তারপর মাতার এনআইডি কার্ডের নম্বর লিখতে হবে। মাতা যদি মৃ'ত হন তাহলে মৃ'ত অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে মৃ'ত্যুর সন লিখে দিতে হবে।

তারপরে আসছে বড় ভাই/বোনের তথ্য। আপনার যদি বড় ভাই কিংবা বোন থাকে আপনি চাইলে তাদের তথ্যগুলোও দিতে পারেন। তবে না দিতে চাইলে কোন ক্ষতি নেই।

তারপরে বৈবাহিক অবস্থা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত সিলেক্ট করবেন এবং আপনার স্ত্রীর নাম এবং এনআইডি নম্বর লিখে দেবেন। যদি স্ত্রী মৃ'ত হন তাহলে মৃ'ত্যুর সন লিখে দেবেন। এভাবে আপনি সর্বোচ্চ ৪ জন স্ত্রীর তথ্য এড করতে পারবেন। 

এটাই ছিলো নতুন ভোটার হওয়ার জন্য ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ। এরপর অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হবে। তাই অন্যান্য তথ্য অপশনে ক্লিক করুন।

নতুন ভোটার আবেদন অন্যান্য তথ্য পূরণ

নতুন ভোটার আবেদন অন্যান্য তথ্য পূরণ

অন্যান্য তথ্যের মধ্যে খুব বেশি তথ্য দেয়া লাগবে না। এখানে আপনার শিক্ষগত যোগ্যতা কি সেটি লিখতে হবে, পেশা কি লিখতে হবে, অসমর্থতা যদি থাকে সিলেক্ট করবেন অন্যথা দরকার নেই। শরীরে যদি কোন সানাক্তকরণ চিহ্ন থাকে তাহলে সে বিষয়ে বাংলায় লিখে দেবেন, না থাকলে লেখা লাগবে না।

তারপর টিন নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর এগুলো থাকলে লিখে দেবেন আর না থাকলে লেখা লাগবে না। তারপর আপনার ধর্ম সিলেক্ট করে দেবেন। অন্যান্য তথ্য পূরণ করা শেষ হলে ঠিকানা লিখতে হবে। তাই ঠিকানা অপশনে ক্লিক করতে হবে।  

নতুন ভোটার আবেদন ঠিকানা পূরণ

নতুন ভোটার ঠিকানা ফরম পূরণ

ভোটার হতে গেলে ভোটার নিবন্ধন ফরমে আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী দুইটা ঠিকানা লিখতে হয়। প্রথমে আবেদনকারীর অবস্থানরত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর কোন ঠিকানার ভোটার হবেন বর্তমান ঠিকানা নাকি স্থায়ী ঠিকানা সেটা টিক চিহ্নের মাধ্যমে সিলেক্ট করতে হবে। 

তারপর সঠিকভাবে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করবেন। এখানে বেশিরভাগই সিলেক্ট করে পূরণ করতে হয়। যেগুলো সিলেক্ট করে পূরণ না করা যায় সেগুলো টাইপ করে পূরণ করে দেবেন।  

ঠিকানার অংশটা সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে উপর থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে পেজটি লোড হয়ে নিচের নমুনা ছবির মত পর্যায়ক্রমে কাগজপত্র আপলোড এবং আবেদন নিশ্চিত করার পেজ আসবে।

নতুন ভোটার কাগজপত্র এবং আবেদন সাবমিট

নতুন ভোটার কাগজপত্র এবং আবেদন সাবমিট

আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা পূরণ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর উপরের নমুনা ছবি ১ এর মত একটি পেজ আসবে। পেজটিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হয়। তবে আপাতত এখানে কোন প্রকার কাগজপত্র আপলোড করার দরকার হয় না। তাই এই পেজে কোন কাজ নেই এবং এখান থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তাহলে ২ নং নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। তবে এই পেজেও কোন কাজ নেই। যদি আপনার তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে থাকে তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পেজটি লোড হয়ে নিচের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে।

নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ ডাউনলোড

নতুন ভোটার আবেদন ফরম ডাউনলোড

ভোটার আবেদন সাবমিট করার পেজটি লোড হয়ে পুনরায় প্রোফাইল পেজে নিয়ে আসবে। সেখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে নতুন ভোটার আবেদন ফরম ডাউনলোড হয়ে যাবে। নতুন ভোটার আবেদন ফরমটি পিডিএফ ফরমেটে থাকবে। তাই নিজের অথবা যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে ফরমটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। 

নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ২

নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ২

নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ প্রিন্ট করার পর ভালো ভাবে পড়ে দেখবেন কোন ভুল ভ্রান্তি রয়েছে কি না। তাছাড়া ফরমে কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়, সেগুলো না করলে অফিস থেকে আপনাকে ফেরত পাঠিয়ে দেবে। প্রয়োজনীয় কাজগুলোর মধ্যে ফরমের দ্বিতীয় পাতায় ৩৪ এবং ৩৫ নং ক্রমিকে আপনার পরিচিত যে কোন একজন ব্যক্তি/প্রতিবেশি/পরিবারের যে কোন সদস্যের Nid Number এবং তার স্বাক্ষর নিতে হবে। 

ফরমের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নং ক্রমিকে আপনার ওয়ার্ড মেম্বর/কাউন্সিলর অথবা মহিলা ওয়ার্ড  মেম্বর/কাউন্সিলর এর নাম, Nid Number এবং স্বাক্ষর নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার এলাকার যে কোন একজন জনপ্রতিনিধিকে দিয়ে এই ৪০, ৪১ এবং ৪২ নং ক্রমিক পূরণ করতে হবে। এছাড়া জনপ্রতিনিধি তার স্বাক্ষরের নিচে অবশ্যই নিজ নামীয় সীল ব্যবহার করবে।

নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরমে এই কাজটুকু না করলে অফিস থেকে পুনরায় আপনাকে এই কাজগুলো করার জন্য ফেরত পাঠাবে।

ফরমের সকল তথ্য ঠিক থাকলে এবং সনাক্তকারী ও যাচাইকারীর তথ্য নেয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদনটি জমা দেবেন। তারা তাদের নির্ধারিত সময়ে আপনার ছবি, স্বাক্ষর, আইরিশ স্ক্যান করে নেবেন। তারপর অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ হলে আপনার মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে Nid Number প্রেরণ করে দেবে।

Nid Number পাওয়ার পর অনলাইন থেকে সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। যা দিয়ে সকল কাজই করা যাবে। 

কারা নতুন ভোটার হতে পারবে

নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলো আপনার অনুকুলে না হলে আপনাকে ভোটার হতে পারবেন না্। শর্তসমূহ হচ্ছে-

  • আপনাকে বাংলাদেশর নাগরিক হতে হবে। 
  • আপনার জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০৭ সাল বা তার পূর্বে জন্ম হতে হবে। 
  • পূর্বে দেশের কোথায়ও ভোটার হয়ে থাকলে দ্বিতীয়বার ভোটার হতে পারবেন না।
  • আবেদনের সাথে ভুয়া কাগজপত্র জমা দেয়া যাবে না।
  • তথ্য গোপন করে নতুন ভোটারের ফরম পূরণ করা যাবে না। 

নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে এই শর্তগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। আবেদনের সাথে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিলে কিংবা তথ্য গোপন করে আবেদন ফরম পূরণ করলে পরবর্তীতে আপনি নিজেই বিপদে পড়তে পারেন।

ভোটার হতে কি কি লাগে?

ভোটার হওয়ার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। তবে কিছু কিছু কাগজপত্র সকলের জন্য বাধ্যতামূল করা হয়েছে। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।

  • জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (বাধ্যতামূলক)।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার কপি (JSC/JDC/SSC)। (যদি থাকে)।
  • পিতা-মাতার Nid Card এর কপি অথবা মৃ'ত্যু সনদ (বাধ্যতামূলক)।
  • স্বামী/স্ত্রীর Nid Card এর কপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)।
  • কাবিননামা/ বৈবাহিক সনদের কপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)।
  • ইউটিলিটি বিলের কপি যেমন- বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস/পানি বিলের কপি (বাধ্যতামূলক)।
  • চৌকিদারী ট্যাক্স/পৌর করের রশিদ (বাধ্যতামূলক)।
  • নাগরিক সনদ (বাধ্যতামূলক)।
  • নতুন ভোটারের প্রত্যয়ন পত্র (জমা দিলে ভালো)।
  • অঙ্গীকারনামা (বয়স্কদের ক্ষেত্রে)।
  • পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি (যদি থাকে)।
  • সার্ভিস আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)।
  • সার্ভিস বইয়ের কপি (যদি থাকে)।

ভোটার হতে উক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তবে এই সকল কাগজপত্র সকলের জন্য প্রযোজ্য না। যাদের ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য হবে তাদের সেই কাগজ অবশ্যই জমা দিতে হবে।

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমানে ভোটার হওয়া অনেক সহজ। সঠিকভাবে অফিসে কিংবা অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিলেই যে কোন সময় ভোটার হওয়া যায়। তবে অফিসে আবেদন করার চেয়ে অনলাইনে আবেদন করা উত্তম। 

এই ছিলো অনলাইনে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আশা করি আপনাদের বোঝাতে পেরেছি। এ বিষয়ে যদি আরো তথ্য জানতে চান তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের কমেন্টের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে ্অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন