ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন

যাদের ভোটার আইডি কার্ডে শুধু বাংলা নাম এবং ইংরেজি নাম ভুল হয়েছে তারা নাম সংশোধন কিভাবে করবেন? কি কি উপায়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিলে দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তি হবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আজকের এই পোষ্টে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে চলেছি। তাই যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম ভুল হয়ে থাকে তাহলে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েবন। কারণ ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন করা সহজ হলেও আবেদন দ্রুত অনুমোদন করানোটা তেমন সহজ নয়। 

একেতেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার বিষয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তারপরও যদি সঠিক নিয়ম মেনে বা সঠিক কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা না দিয়েই আবেদন করেন তাহলে প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা সময় অপচয় হতে পারে। তাই ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন এর জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে নেবেন।

Table of Contents

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডে ভুল হলে উপযুক্ত প্রমাণাদির মাধ্যমে সেই ভুল সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। তবে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে কিংবা কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য নাম সংশোধন করার জন্য আবেদন করলে সেই আবেদন অনুমোদন হবে না। বরং দীর্ঘ্য দিন ধরে আবেদন পেন্ডিং থাকবে।

দেখা যায় অনেকেই অন্যের নামীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিজের নাম গোপন রেখে অন্যের নাম ব্যবহার করে ভোটার হয়ে থাকেন। কিন্ত পরবর্তীতে আর বিদেশ যাওয়া হয়ে ওঠে না। তখন ভোটার আইডি কার্ডে নিজের সঠিক নাম উঠানোর জন্য আবেদন করে থাকেন। যদি এই ধরণের কোন সংশোধনের আবেদন করে থাকেন তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার আবেদন অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না বললেই চলে।

তাই বলা যায়, ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার নিয়ম হচ্ছে প্রকৃতপক্ষেই যদি নামে কোন ভুল থাকে তাহলে উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করলে সহজে সেই আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়। যেমন নামের বানান ভুল, পদবী ভুল, নামের আগে থাকা মোঃ/মোছাঃ নেই বা সংযোজন করতে হবে, বাংলা নাম সঠিক আছে কিন্ত ইংরেজি নাম ভুল ইত্যাদি। এই ধরনের ভুল হলে সেই সকল আবেদন খুব সহজে অনুমোদন হয়।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি

যেমনটি আগেই বলেছি যে, এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডে ভুল হলে সংশোধনের আবেদন করার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। আপনি দুইটি উপায়ে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার জন্য ্আবেদন করতে পারবেন। 

  • অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন
  • অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন

আজকে আমরা জানবো অফিসে গিয়ে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন করতে হবে এবং অনলাইনে কিভাবে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। 

অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি

যদি অফিসে গিয়ে নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। অফিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম ২ সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম হচ্ছে-

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম ২

  • ফরমের ১ নং ক্রমিকের (ক) তে আবেদনকারীর নাম বাংলায় লিখতে হবে।
  • ফরমের ১ নং ক্রমিকের (খ) তে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লিখতে হবে।
  • ফরমের ২ নং ক্রমিক পূরণ করা লাগবে না। 
  • আবেদন ফরমের ৩ নং ক্রমিকের (ক) এর দ্বিতীয় কলামে আবেদনকারীর ভুল বাংলা নামটি লিখতে হবে এবং তৃতীয় কলামে যে নামটি হবে সেই নাম লিখতে হবে। 
  • আবেদন ফরমের ৩ নং ক্রমিকের (খ) এর দ্বিতীয় কলামে আবেদনকারীর ভুল ইংরেজি নামটি লিখতে হবে এবং তৃতীয় কলামে যে নামটি হবে সেই নাম লিখতে হবে।
  • ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য ফরমের ৩ নং ক্রমিকের টেবিলের মধ্যে (ক) এবং (খ) ছাড়া আরো কোন ঘর পূরণ করা লাগবে না। তবে আবেদনের সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দেবেন সেই সকল কাগজপত্রের নাম চতুর্থ কলামে সংযুক্ত দলিলাদির ঘরে লিখে দিতে হবে।
  • ফরমের নিচের দিকে ডান পাশে আবেদনকারী তার স্বাক্ষর/টিপসহি প্রদান করবে। এবং তার নিচে আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর লিখতে হবে।

অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য ফরম পূরণের নির্দেশাবলী একটুকুই। এখন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা দিয়ে তার রশিদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের সাথে পিন-আপ করে অফিসে জমা দিতে হবে। 

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি

সবচেয়ে সুবিধাজনক হচ্ছে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করা। এতে অফিসে যাওয়ার কোন প্রয়োজন পড়ে না, অফিসিয়াল সময় মেইনটেইন করার দরকার হয় না, কাগজপত্রের কপি করা লাগে না। ঘরে বসে নিজেই নিজের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে সংশোধনের আবেদন করা যায়। যারা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের জন্য অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন করা পানির মত সহজ ব্যাপার। 

তারপরও যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে মনে সংকোচ থাকে তাহলে তাদের জন্য নিম্নে ধাপে ধাপে বিস্তারিত উল্লেখ করছি। সম্পূর্ণ ধাপ অনুসরণ করুন তাহলে নিজেই কাজটি করতে পারবেন।

Services Nidw Gov BD সাইট ভিজিট এবং Nid Account তৈরী

আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে Bangladesh Nid Application System এ ভিজিট করে একটি একাউন্ট তৈরী করতে হবে। Nid Account Register না করা পর্যন্ত অনলাইনে Nid Card সংশোধনের আবেদন করা সম্ভব হবে না। 

তাই এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ধাপ হবে আগে এনআইডি একাউন্ট তৈরী করা। আমাদের ওয়েবসাইটে Nid Account Register করার নিয়ম সম্পর্কে ধাপে ধাপে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা হয়েছে। আপনি যদি Nid Account তৈরী করার নিয়ম না জানেন তাহলে লিংকে ক্লিক করে সেই পোষ্টটি পড়ুন তাহলে সহজেই Nid Account তৈরী করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন প্রোফাইল এডিট

Nid Account Dashboard

এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রার করার পর একাউন্ট ড্যাশবোর্ডটি উপরের নমুনা ছবির মত দেখা যাবে। সেখানে আপনার ছবি, নাম, ঠিকানাসহ, প্রোফাইল, রিইস্যু, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস ইত্যাদি অপশন দেখতে পাবেন। 

নাম সংশোধনের আবেদন করার জন্য প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে। 

Nid Card Correction Profile Edit

এই পেজে আসার পর আপনার ছবিসহ ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা দেখতে পারবেন। এই সকল তথ্যগুলো এডিট করার মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। নাম এডিট করার জন্য আমাদের ডানপাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এডিট বাটনে ক্লিক করার পর একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেখানে দুইটি বাটন থাকবে বাতিল এবং বহাল নামে। সেখান থেকে বহাল বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। তাহলে এই পেজের সকল তথ্য এডিট করা যাবে।

এনআইডি কার্ড সংশোধন ব্যক্তিগত তথ্য এডিট

যেহেতু আমারা বাংলা নাম এবং ইংরেজি নাম সংশোধন করার জন্য আবেদন করবো সেহেতু নাম (বাংলা) এবং নাম (ইংরেজি) এই অপশনের পাশে টিক চিহ্ন দিতে হবে। তাহলে বাংলা এবং ইংরেজি নাম এডিট করা যাবে এবং ভুল নাম ডিলিট করে সঠিক নাম লেখা যাবে। 

বাংলা নাম এবং ইংরেজি নাম সঠিকভাবে লেখার পর উপরের ডানপাশ থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পেজটি লোড হয়ে পরিবর্তন অপশনে চলে যাবে। 

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন তথ্য পরিবর্তন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন তথ্য পরিবর্তণ

পরিবর্তন অপশনে আসার পর দেখতে পাবেন কোন কোন তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য সিলেক্ট করা হয়েছে। সেখানে বর্তমান নাম কি আছে এবং আপডেটেড নাম কি হবে সেটা দেখা যাবে। তথ্যগুলো ভালো করে মিলিয়ে নিতে হবে। যদি সেগুলো সঠিক থাকে তাহলে উপরে ডান পাশ থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে ট্রানজেশন অপশনে যেতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি ট্রানজেকশন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, ট্রানজেকশন অপশনে আসার পর এনআইডি সংশোধন ফি পরিশোধ করতে পারবেন অথবা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন করার আগে নিজের বিকাশ একাউন্ট অথবা রকেট একাউন্টের মাধ্যমে Nid Correction ফি পরিশোধ করে নিলে ভালো হয়।

এই অপশনে আসার পর দেখতে পাবেন সর্বমোট কত টাকা এনআইডি একাউন্টে ডিপোজিট করা হয়েছে। আর নিচের দিকে আবেদনের ধরণ এবং বিতরণের ধরণ দেখতে পাবেন। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করছি তাই আবেদনের ধরণে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন সিলেক্ট রয়েছে। আর বিতরণের ধরণ Regular সিলেক্ট রাখাই উত্তম।

তাছাড়া এই পেজে আর তেমন কিছু করার নেই। সবকিছু সঠিক থাকলে উপরে ডান পাশ থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে কাগজপত্র অপশনে যেতে হবে। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কাগজপত্র আপলোড

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কাগজপত্র আপলোড

এই পেজে আসার পর বাম পাশ থেকে কাগজপত্রের নাম সিলেক্ট করে ডান পাশ থেকে আপলোড বাটনে ক্লিক করে সহজেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করা যাবে। তাই আবেদন করার আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি তুলে অথবা স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল তৈরী করে রেখে দিতে হবে। 

প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড শেষ হলে উপরে ডান পাশ থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে নিশ্চিত করুন অপশনে যেতে হবে। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন সাবমিট

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন সাবমিট

নিশ্চিত করুন অপশনে আসার পর পুনরায় ভালো করে একবার চেক করে দেখতে হবে ভোটার আইডি কার্ডের কোন কোন তথ্য পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং কি কি কাগজপত্র আপলোড করা হচ্ছে। যদি কোন তথ্য ভুল থাকে বা কাগজ আপলোড করতে বাকী থাকে তাহলে পেছনে ফিরে গিয়ে পুনরায় আপলোড করা যাবে বা ভুল ঠিক করা যাবে। 

যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে উপরে ডান পাশ থেকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আবেদন সাবমিট হলে পেজটি লোড হয়ে একাউন্ট ড্যাশবোডে নিয়ে যাবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ২ ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ২ ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন ফরম ডাউনলোড করার জন্য একাউন্ট ড্যাশবোর্ড থেকে পুনরায় প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে উপরের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে লেখা থাকবে আপনার একটি অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং রয়েছে এবং ডান পাশে ডাউনলোড বাটন দেখতে পাবেন।

ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ২ পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড হবে। প্রয়োজনে ফরমটি প্রিন্ট করে কাছে রেখে দিতে পারেন। পরবর্তীতে যদি কখনো অফিসে গিয়ে আবেদনের খোজ খবর নিতে চান তাহলে ফরমটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে

এতক্ষণ ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানলেন। এখন অবশ্যই মনে প্রশ্ন আসবে আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে? কি কি কাগজপত্র জমা দিলে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি হবে? 

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে সেটা যদি একবাইরেই উল্লেখ করে দেয়া হয় তাহলে আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হবে। তাই ভুলের ধরণ অনুযায়ী কি কি কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।

যদি নামের বানান ভুল হয় যেমন- রকিয়া বেগম এর পরিবর্তে রোকেয়া বেগম হয় তবে আবেদনের সাথে যে সকল জমা দেয়া যেতে পারে।

  • আবেদনকারীর স্কুল সার্টিফিকেট যেমন- JSC/SSC সনদ (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)। আর সার্টিফিকেট যদি না থাকে তবে জমা দেয়া লাগবে না।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • সন্তানদের জন্ম সনদ/এনআইডি কার্ডের কপি/সার্টিফিকেটের কপি।
  • বৈবাহিক সনদ/কাবিনামার ফটোকপি।
  • স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।

এই কাগজপত্রের মধ্যে যে সকল কাগজপত্র আপনার আছে সেগুলো জমা দেবেন।

আর যদি মূল নাম সঠিক রেখে পদবী পরিবর্তন করতে হয় যেমন- আবুল হাসান থেকে আবুল হোসেন। তবে আবেদনের সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে-

  • আবেদনকারীর স্কুল সার্টিফিকেট যেমন- JSC/SSC সনদ (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)। আর সার্টিফিকেট যদি না থাকে তবে জমা দেয়া লাগবে না।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (বাধ্যতামূলক)।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • সন্তানদের জন্ম সনদ/এনআইডি কার্ডের কপি/সার্টিফিকেটের কপি।
  • বৈবাহিক সনদ/কাবিনামার ফটোকপি (বিবাহিত হলে)।
  • স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (বিবাহিত হলে)।

এই কাগজপত্রের মধ্যে যে সকল কাগজপত্র আপনার আছে সেগুলো জমা দেবেন।

অনেক সময় দেখা যায় বাংলা নাম সঠিক আছে কিন্ত ইংরেজি নাম ভুল হয়েছে কিংবা ইংরেজি নাম ঠিক আছে কিন্ত বাংলা নাম ভুল হয়েছে যেমন ধরুন- বাংলা নাম হয়েছে মোঃ রাজিব মোল্যা অথচ ইংরেজি নাম হয়েছে Md. Rakib Molla। এ ক্ষেত্রে আবেদনের করার সময় যে সকল কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে-

  • আবেদনকারীর স্কুল সার্টিফিকেট যেমন- JSC/SSC সনদ (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)। আর সার্টিফিকেট যদি না থাকে তবে জমা দেয়া লাগবে না।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (বাধ্যতামূলক)।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • সন্তানদের জন্ম সনদ/এনআইডি কার্ডের কপি/সার্টিফিকেটের কপি।
  • বৈবাহিক সনদ/কাবিনামার ফটোকপি (বিবাহিত হলে)।
  • স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (বিবাহিত হলে)।

এই কাগজপত্রের মধ্যে যে সকল কাগজপত্র আপনার আছে সেগুলো জমা দেবেন।

আপনি যদি এনআইডি কার্ডের যদি সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তণ করার জন্য আবেদন করেন তবে আবেদনের সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে-

  • আবেদনকারীর স্কুল সার্টিফিকেট যেমন- JSC/SSC সনদ (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)। আর সার্টিফিকেট যদি না থাকে তবে জমা দেয়া লাগবে না।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (বাধ্যতামূলক)।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • সন্তানদের জন্ম সনদ/এনআইডি কার্ডের কপি/সার্টিফিকেটের কপি।
  • বৈবাহিক সনদ/কাবিনামার ফটোকপি (বিবাহিত হলে)।
  • স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (বিবাহিত হলে)।
  • জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত হলফনামা।

এই কাগজপত্রের মধ্যে যে সকল কাগজপত্র আপনার আছে সেগুলো জমা দেবেন।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত দিন লাগে

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য আবেদন করা হলো সেই আবেদন কতদিনে অনুমোদন হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারবে না। এটা নির্ভর করে দুইটি বিষয়ের উপর। 

প্রথমত, যে অফিসার আপনার কাজটি করবেন বা যার আন্ডারে আপনার আবেদনটি রয়েছে তিনি যখন কাজে বসবেন বা যখন আপনার আবেদনটি অনুমোদন করবেন তখন হবে।

আর দ্বিতীয়ত, আবেদনের জটিলতার উপর নির্ভর করে। যদি সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন তাহলে সেই আবেদন আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের আন্ডারে বা "গ" ক্যাটাগরিতে থাকে। "গ" ক্যাটাগরিরে আবেদন জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং প্রচুর পরিমাণ আবেদন জমা পড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আবেদনগুলো নিষ্পত্তি হতে প্রচুর সময় লাগে। 

আর যে সকল আবেদনে সাধারণ ভুল হয় সেগুলো উপজেলা এবং জেলা পর্যায় থেকেই অনুমোদন হয়। উপজেলা এবং জেলাতে আবেদনের পরিমাণ কম হওয়ার ফলে অনেক দ্রুতই আবেদনগুলো নিষ্পত্তি হয়। 

তবে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কত দিন লাগে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা না গেলে আনুমানিক একটা ধারণা দেয়া সম্ভব। সাধারণ ভুল হলে সেই আবেদন ৫-১৫ কর্মদিবের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আর জটিল আবেদনগুলো ১৫-৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে দেখা যায় কিছু কিছু জটিল আবেদন ৩ বছরেও নিষ্পত্ত হয় না।

এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার পর আবেদনের উপর যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় সে বিষয়ে আবেদনকারীর মোবা্ইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। তাই ম্যাসেজগুলো ফলো করবেন। আর আবেদন নিষ্পত্তি হতে যদি বেশি সময় লাগে তহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোজ নিতে হবে। 

খোজ নিয়ে জানতে হবে, আবেদন কোন স্যারের আন্ডারে রয়েছে, কোন কাগজপত্র চেয়েছে কি না ইত্যাদি। সেই অনুপাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। 

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় যে, ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন করার নিয়ম জটিল নয়। তবে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন- উপযুক্ত কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে, আবেদন নিষ্পত্তি হতে দেরি হলে অফিসে গিয়ে আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোজ নিতে হবে। তাছাড়া এনআইডি কার্ডে জটিল কোন ভুল হলে সে আবেদন নিষ্পত্তি হতে এমনিতেই সময় বেশি লাগে। 

এই ছিলো ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আশা করি সকলে বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন