জমির খাজনা চেক এবং পরিশোধ করার নিয়ম কি জানুন

জমির খাজনা চেক

ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করার জন্য অনেকেই জমির খাজনা চেক করে দেখতে চান যে, কত টাকা জমা দিতে হবে। তারপর সেই অনুপাতে টাকা পয়সা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে জমির খজনা পরিশোধ করে থাকেন। তবে বর্তমানে সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর জমা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। ভূমি উন্নয়ন কর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে পরিশোধ করেন আর অনলাইনে পরিশোধ করে তার আগে আপনাকে জানতে হবে জমির খাজনা কত টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে এবং অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য দিতে চলেছি। আপনারা যারা জমির খাজনা  চেক করে দেখতে চান এবং অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে চান তারা সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন তাহলে সঠিক তথ্য জানার পাশাপাশি নিজের খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।

Table of Contents

জমির খাজনা কি

কোন জমি ভোগদখলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সরকারকে প্রতি শতক জমির জন্য বাৎসরিক যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করা হয় তাকে ভূমি উন্ননয় কর বা খাজনা বলা হয়। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা দাখিল করলে দাতা দাখিলা পাওয়ার অধিকার লাভ করে। 

দাখিলা হচ্ছে, আপনি যে আপনার জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর সংশ্লিষ্ট তহসিল অফিস বা ভূমি অফিসে গিয়ে জমা দিলেন তার জন্য অফিস থেকে আপনাকে একটি রশিদ প্রদান করবে সেই রশিদটি হচ্ছে দাখিলা। দাখিলা হচ্ছে জমির মালিকানার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা দেয়া হয়। আপনি চাইলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের অগ্রিম খাজনা সরকারকে প্রদান করতে পারবেন।

জমির খাজনা চেক

বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট আপডেট করা হয়েছে। তাই যে কেউ চাইলেই যে কোন ব্যক্তির জমির খাজনা চেক করে দেখতে পারবেন না।

Ldtax gov bd

পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট https://ldtax.gov.bd ভিজিট করলে পেমেন্ট করুন অপশন পাওয়া যেত। সেখানে ক্লিক করে জমির খাজনা চেক করা যেত এবং খাজনা পরিশোধ করা যেত। 

জমির খাজনা চেক

পেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক করলে উপরের নমুনা ছবির মত পেজ আসতো। সেখান থেকে বিভাগ, জেলা, উপজলা, মৌজা সিলেক্ট করে এবং হোল্ডিং নং লিখে অনুসন্ধান করুন বাটনে ক্লিক করলে মালিকের নামসহ সর্বশেষ কর পরিশোধের সাল দেখা যেত। তারপর এনআইডি যাচাই অপশনে ক্লিক করে এনআইডি যাচাই করলে নিচের নমুনা ছবির মত জমির খাজনা চেক করা যেত।

জমির খাজনা চেক

এনআইডি যাচাই হওয়ার পর বিস্তারিত ভাবে জমির খাজনা চেক করে দেখিয়ে দেয়া হতো। কত টাকা বকেয়া রয়েছে, বকেয়া টাকার সুদ কত টাকা হয়েছে, সর্বমোট কত টাকা পরিশোধ করতে হবে ইত্যাদি।

তবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল ওয়েবসাইট আপডেট হওয়ার ফলে উক্ত উপায়ে আর জমির খাজনা চেক করা যায় না। তবে অন্য উপায়ে অবশ্যই জমির খাজনা চেক করে দেখা যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক বর্তমানে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম কি।

জমির খাজনা চেক করার নিয়ম

এখন যে কেউ চাইলেই যে কোন ব্যক্তির জমির খাজনা চেক করে দেখতে পারে না। কেবলমাত্র জমির প্রকৃত মালিক এবং তার ওয়ারিশগণ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জমির খাজনা চেক করে দেখতে পারবে এবং ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করতে পারবে। 

Ldtax gov bd সাইট নাগরিক নিবন্ধন

জমির খাজনা চেক করে দেখার জন্য এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট https://ldtax.gov.bd ভিজিট করতে হবে। তাহলে নিচের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে। 

Ldtax gov bd সাইট ভিজিট

বাম পাশ থেকে নাগরিক কর্নার অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে ডান পাশে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিম্টেম এর রেজিস্ট্রেশন ফরম আসবে। প্রথমেই এখানে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্টটি অবশ্যই জমির মালিকের তথ্য অথবা মালিকের অবর্তমানে তার ওয়ারিশগণের তথ্য দিয়ে করতে হবে। তাছাড়া ফেক কোন তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরী করা যাবে না।

নাগরিক নিবন্ধন করার জন্য একটি সচল মোবাইল নম্বর লিখতে হবে এবং যোগ করুন অপশনে যোগফলটি লিখে পরবর্তী পদক্ষেপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের  নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। 

জমির খাজনা চেক নাগরিক নিবন্ধন

পরবর্তী পদক্ষেপে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার মোবাইলে ৬ সংখ্যার একটি ওটিপি কোড আসবে। সেটি ওটিপি ভেরিফিকেশন ফরমে টাইপ করে যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের ছবির মত পাসওয়ার্ড সেট করার অপশনে আসবে।

ভূমি উন্নয়ন কর নাগরিক নিবন্ধন পাসওয়ার্ড সেট

পাসওয়ার্ড সেট করার অপশন আসার পর একটি নতুন পাসওয়ার্ড টাইপ করবেন এবং ওই একই পাসওয়ার্ড নিশ্চিত করুন এর ঘরে লিখে দিতে হবে। তারপর যোগফলটি লিখে সংরক্ষণ করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। 

Ldtax gov bd লগইন

ভূমি উন্নয়ন কর নাগরিক লগইন

এই পেজে আসার পর নাগরিক লগইন অপশনে ক্লিক করে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং যোগফলটি লিখে লগইন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে লগইন হয়ে যাবে এবং নিচের ছবির মত একটি নমুনা পেজ আসবে।

Ldtax gov bd এনআইডি ভেরিফাই

ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেম

একাউন্টে লগইন হওয়ার পর প্রথম কাজ হবে আবেদনকারীর এনআইডি নম্বর ভেরিফাই করা। তার জন্য এনআইডি ভেরিফাই করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। জমির খাজনা চেক করা এবং খাজনা পরিশোধ করার জন্য এনআইডি ভেরিফাই করা জরুরী। এনআইডি ভেরিফাই করুন অপশনে ক্লিক করলে নিচের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। 

ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা এনআইডি ভেরিফাই

মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে যাচাই ও হালনাগাদ করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। মালিকের অবর্তমানে মালিকের ওয়ারিশগণের তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করতে পরবে। এনআইডি যাচাই হলে নিচের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে।

Ldtax gov bd নতুন খতিয়ান যুক্ত করুন

ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা প্রোফাইল

এনআইডি যাচাই হওয়ার পর প্রথমে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য দেখা যাবে। যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করতে হবে নতুন খতিয়ান যুক্ত করার জন্য। খতিয়ান অপশনে ক্লিক ক্লিক করলে নিচের ছবির মত পেজ আসবে।

ভূমি উন্নয়ন কর নতুন খতিয়ান যুক্ত

এই পেজে আসার পর আবেদনকারীর বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর সর্বশেষ খতিয়ান নম্বর লিখতে হবে। হোল্ডিং নম্বর যদি থাকে লিখবেন আর না থাকলে লিখতে হবে না। তারপর খতিয়ানের ছবি তুলে বা স্ক্যান কপি পিডিএফ আকারে আপলোড করতে হবে। অথবা সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর জমা দেয়ার পর যে দাখিলাটি পেয়েছিলেন সেটির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। 

তারপর দেখবেন মালিকের ধরণ রয়েছে। যদি আপনি নিজেই মালিক হয়ে থাকেন তাহলে সেখান থেকে নিজ সিলেক্ট করবেন। আর যদি আপনি মালিকের ওয়ারিশ হয়ে থাকেন তাহলে উত্তরাধিকার সিলেক্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিচের দিকে পুনরায় মালিকের নাম, মালিকের পিতা/স্বামীর নাম এবং  ঠিকানা লিখতে হবে। 

তারপর আপনি যে মালিকের ওয়ারিশ সেইটা প্রমাণ করার জন্য ওয়ারিশন সনদের ছবি বা স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। তারপরে মালিকের সাথে আপনার যে সম্পর্কে সেটা সিলেক্ট করতে হবে। ফরমটি ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে সংরক্ষণ করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে একই পেজের নিচের দিকে খতিয়ানের তথ্য দেখা যাবে অনেকটা নিচের নমুনা ছবির মত।

খতিয়ানের তথ্যৃ

এখানে পদক্ষেপ এর মধ্যে বিস্তারিত, অপেক্ষমান এবং মুছুন অপশন থাকবে। খতিয়ানের তথ্য যুক্ত করার পর সেটি অপেক্ষমান থাকবে। খতিয়ান যুক্ত করার এই আবেদনটি ৩-৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন হয়ে যায়। তবে আপনি যদি আরো দ্রুত আবেদনটি অনুমোদন করাতে চান তাহলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। 

তবে অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে একাউন্ট করার সময় যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করেছিলেন সেই মোবাইল নম্বরটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। তাদের কাছে বলবেন আপনি অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য একটি খতিয়ান যুক্ত করেছেন। খতিয়ানটি অনুমোদন করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করবেন। তারা আপনার বিস্তারিত তথ্য যাচাই বাছাই করে সব কিছু সঠিক পেলে আবেদনটি অনুমোদন করে দেবেন। 

Ldtax gov bd জমির খাজনা চেক

ভূমি উন্নয়ন কর খতিয়ান অনুমোদন

অফিস থেকে খতিয়ানটি অনুমোদন করে দিলে পুনরায় ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে লগইন করবেন এবং হোল্ডিং অপশনে ক্লিক করবেন। হোল্ডিং এর উপর ক্লিক করার পর একদম ডানপাশে দেখবেন স্ট্যাটাস অনুমোদিত হয়েছে এবং পদক্ষেপ এর নিচে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। আপনি এই বিস্তারিত এর উপর ক্লিক করবেন। তাহলে  নিচের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে। 

জমির খাজনা চেক

এই পেজে আসার পর আপনার জমির খাজনা চেক করতে পারবেন। সর্বমোট কত বছরের খাজনা বাকী রয়েছে, বকেয়া দাবী কত টাকা, বকেয়া দাবীর সুদ কত টাকা, সর্বমোট কত টাকা জমা দিতে হবে ইত্যাদি। 

মুলত এই নিয়েমেই কেবল জমির খাজনা চেক করা যায়। তাছাড়া আর দ্বিতীয় কোন উপায়ে জমির খাজনা চেক করার সুযোগ নেই। অর্থাৎ কেবল জমির মালিক অথবা মালিকের উত্তরাধিকারগণই অনলাইন থেকে জমির খাজনা চেক করে দেখতে পারবে।

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম

অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর খাজনা দেয়া খুবই সহজ ব্যাপার। তবে এতক্ষণ ধরে যা কিছু উল্লেখ করেছি অর্থাৎ, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে একাউন্ট তৈরী করা, এনআইডি ভেরিফাই করা, খতিয়ান যুক্ত করা, তারপর হোল্ডিং অপশনে গিয়ে বিস্তারিত এর উপর ক্লিক করে জমির খাজনা চেক করা ইত্যাদি।

জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করতে হলে প্রথমে এই কাজগুলো আপনাকে করতেই হবে। তারপর যদি মনে করেন খাজনা পরিশোধ করবেন তাহলে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

জমির খাজনা পরিশোধের মাধ্যম

জমির খাজনা চেক করে দেখার পর দুইটি মাধ্যমে আপনি খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। অনলাইন পেমেন্ট এবং বিল পে/মোবাইল পে। আপনি অনলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে নিচের নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। 

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের মাধ্যম

এখানে ভূমি  উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য বিকাশ, উপায়, ekpay, নগদ, রকেট এবং নেক্সাস অপশন পাবেন। আপনার সুবিধা মত একটি পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করে ই-পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করবেন। আমি বিকাশ অপশন সিলেক্ট করে বিস্তারিত দেখাচ্ছি। ই-পেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক করলে পর্যায়ক্রমে নিচর নমুনা ছবির মত কয়েকটি পেজ আসবে।

বিকাশর মাধ্যমে জমির খাজনা পরিশোধ

বিকাশের মাধ্যমে জমির খাজনা পরিশোধ

প্রথমে ১ নং ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে আপনার বিকাশ নম্বরটি লিখে Confirm বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ২ নং ছবির মত পেজ আসবে এবং সেই সাথে আপনার মোবাইল একটি যাচাইকরণ ওটিপি কোড আসবে। সেটি টাইপ করে Confirm বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ৩ নং নমুনা ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে আপনার বিক্শ একাউন্টের পিন নম্বরটি লিখে Confirm বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলেই আপানার জমির খাজনা জমা দেয়া হয়ে যাবে।

জমির দাখিলা ডাউনলোড করুন

জমির খাজনা পরিশোধ দাখিলা

বিকাশের মাধ্যমে জমির খাজনা দেওয়া হয়ে গেলে বাম পাশ থেকে দাখিলা অপশনে ক্লিক করবেন তাহলে ডান পাশে মালিকের নাম, হোল্ডিং নম্বর, দাখিলা নম্বর, দাবী, তারিখ ইত্যাদি তথ্য দেখা যাবে। সেই সাথে একদম ডান পাশে পদক্ষেপ এর নিচে বিস্তারিত লেখা দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে দেবেন। তাহলে নিচের ছবির মত আপনার অনলাইন দাখিলা দেখতে পাবেন।

খাজনার দাখিলা

অনলাইন দাখিলাটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন এবং একটি কপি প্রিন্ট করে রেখে দেবেন। পরবর্তীতের কোন কাজে জমির দাখিলা প্রয়োজন হয়ে এই অনলাইন দাখিলা টি ব্যবহার করতে পারবেন। আর জমির দাখিলা ডাউনলোড হওয়ার সাথে সাথে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমানে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য আর অফিসে ঘোরাঘুরি করা লাগে না। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির খাজনা পরিশোধ করা যায়। তাই সকলেই উচিত সময় মত জমির খাজনা পরিশোধ করে রাখা। কারণ বর্তমানে জমি জমা সংক্রান্ত আইন অনেকট কঠোর হয়েছে। আপনি যদি একটানা ৩ বছর খাজনা পরিশোধ না করেন তাহলে আপনার জমি খাস হয়ে যেতে পারে এবং সরকার নিলামে বিক্রি করে দিতে পারে। তাই খাজনা জমা দিতে কখনোই দেরি করবেন না। 

এই ছিলো জমির খাজনা চেক করার বিষয়ে এবং অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আশা করি সকলে বুঝতে পেরেছেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন