Nid Card Download করুন | ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

Nid Card Download

নতুন ভোটার হওয়ার পর অফিস থেকে Nid Card দিতে অনেক দেরি করে। তাই Nid Number তৈরী হওয়ার পর অনলাইন থেকে Nid Card Download করে নিতে হয়। যত দিন না পর্যন্ত স্মার্ট এনআইডি কার্ড পাবেন তত দিন এই ডাউনলোড করা Nid Card দিয়েই আপনাকে সকল কাজ চালাতে হবে। অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কোন প্রকার সরকারি ফি জমা দেয়া লাগে না। সম্পূর্ণ ফ্রিতে মাত্র ২ মিনিটেই Nid card Download করা যায়। 

যারা জানেন না কিভাবে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয় তারা সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন। তাহলে নিজেই নিজের মোবাইল দিয়ে কাজটি করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি Nid Card Download করার জন্য কোন কম্পিউটারের দোকানে গেলে তারা আপনার থেকে তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে বেশ কিছু টাকা নেবে। 

তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিজের কাজটি নিজেই করে নিতে পারলে আপনারই সুবিধা হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয়।

Table of Contents

Nid Card Download করতে কি কি লাগবে

যদি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে ভোটার বা আবেদনকারী সম্পর্কে কিছু তথ্য লাগবে। যেমন-

  • একটি স্মার্ট ফোন
  • ইন্টারনেট সংযোগ
  • Nid Wallet App
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর
  • আবেদনকারীর ঠিকানা যেমন- বিভাগ, জেলা, উপজেলা
  • আবেদনকারীর Nid Number অথবা ভোটার নিবন্ধন স্লিপের নম্বর
  • আবেদনকারীর জন্ম তারিখ
  • আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হবে

এই তথ্যগুলো থাকলেই মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে অনলাইন থেকে আপনার Nid Card Download করতে পারবেন।

Nid Card Download করার নিয়ম

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিময় অত্যন্ত সহজ। আমি এই পোষ্টে ধাপে ধাপে স্ক্রিনশর্টসহ বিস্তারিত দেখানোর চেষ্টা করবো। আপনারা প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করবেন তাহলে কোন সমস্যা ছাড়াই সঠিকভাবে Online Nid Card Download করতে পারবেন। 

১ম ধাপঃ Nid Wallet Download

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে Nid Wallet App টি ইনিস্টল করে নিতে হবে। যদি আপনার মোবাইলে আগে থেকেই Nid Wallet App ইনিস্টল করা থাকে তাহলে ভালো, আপনি পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।

Nid Wallet Wownload

আর যদি আপনার মোবাইলে Nid Wallet App না থাকে তাহলে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Nid Wallet লিখে সার্চ করুন। তাহলে অ্যাপটি পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ইনিস্টল করে নিন। 

২য় ধাপঃ Nid Application System ভিজিট

আমাদের দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে Nid Application System এর ওয়েবসাইট Services nidw gov bd এ ভিজট করা। মোবাইলের যে কোন একটি ব্রাউজার থেকে ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন তাহলে নিচের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে।

Nid Application System

Nid Card Download করার জন্য Services nidw gov bd ওয়েবসাইটে আমাদের একটি Nid Account তৈরী করতে হবে। একাউন্ট তৈরী করার জন্য রেজিষ্টার করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে। 

৩য় ধাপঃ Nid একাউন্ট রেজিস্ট্রার

Nid Account Register

এই ফরমটি সুন্দর করে পূরণ করতে হবে এবং কোন প্রকার ভুল করা যাবে না।

  • তারপর সঠিক জন্ম তারিখ লিখতে হবে (দিন/মাস/বছর)।
  • তারপর ছবির মধ্যে যে ক্যাপচা কোড রয়েছে সেটি হুবহু লিখতে হবে। 
  • তারপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

যদি তথ্যগুলো সঠিকভাবে লেখা হয় তাহলে পেজটি লোড হয়ে ঠিকানা সিলেক্ট করার পেজে নিয়ে যাবে। 

৪র্থ ধাপঃ আবেদনকারীর ঠিকানা প্রদান

এনআইডি একাউন্টের ঠিকানা সিলেক্ট

একজন ভোটারের ভোটার তথ্যে দুইটি ঠিকানা লেখা থাকে। একটি হচ্ছে বর্তমান ঠিকানা, অপরটি হচ্ছে স্থায়ী ঠিকানা। প্রথমে বর্তমান ঠিকানার বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে।

ঠিকানা সিলেক্ট করার সময় ভুল করা যাবে না। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা আলাদা আলাদা হলে আলাদা ভাবেই সিলেক্ট করতে হবে। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশনের অপশনে নিয়ে যাবে।

৫ম ধাপঃ মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন

এনআইডি একাউন্ট মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন

প্রথমে উপরের ১ নং ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে যদি আলাদা কোন ফোন নম্বর লেখা থাকে তাহলে মোবাইল পরিবর্তন বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ২ নং ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে আপনার সঠিক মোবাইল নম্বরটি লিখে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তাহলে ৩ নম্বর ছবির মত পেজ আসবে। সেই সাথে মোবাইল ৬ সংখ্যার একটি ওটিপি কোড আসবে। সেই কোডটি সঠিকভাবে টাইপ করে বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পেজটি লোড হয়ে ফেস ভেরিফাই করার অপশনে নিয়ে যাবে।

৬ষ্ঠ ধাপঃ Nid Wallet দিয়ে ফেস ভেরিফিকেশন

Nid Wallet QR Code

মোবাইল নম্বর ভেরিফাই হওয়ার পর উপরের নমুনা ছবির মত একটি পেজ আসবে। দেখবেন লাল বৃত্তের মধ্যে TAP TO OPEN NID WALLET লেখা রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার মোবাইলে ইনিস্টল করে রাখা Nid Wallet অ্যাপটি অপেন হয়ে যাবে।

Nid Wallet Face Verify

Nid Wallet অ্যাপ ওপেন হলে ক্যামেরার দিকে সোজাভাবে তাকাবেন তাহলে ফেস ক্যাপচার হয়ে নিচের দিকে থাকা ডেমো ফেসের উপর টিক চিহ্ন উঠে যাবে। তারপর মুখ ডানে একবার এবং বামে একবার ঘুরিয়ে ফেস ক্যাপচার করতে হবে।

সঠিকভাবে ফেস ক্যাপচার হলে নিচের দিকে থাকা ৩ টা ডেমো ফেসের উপর টিক চিহ্ন চলে আসবে এবং একটি ম্যাসেজ আসবে। সেখান থেকে ম্যাসেজটি OK করে দেবেন। তাহলে পেজ লোড হয়ে পাসওয়ার্ড সেট করার অপশনে নিয়ে যাবে।

৭ম ধাপঃ এনআইডি একাউন্ট পাসওয়ার্ড সেট

এনআইডি একাউন্ট পাসওয়ার্ড সেট

ফেস ভেরিফাই হওয়ার পর উপরের ১ নং ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে আপনার নাম এবং ছবি দেখা যাবে। সেই সাথে একটি পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য বলবে। আপনি চাইলে পাসওয়ার্ড সেট না করে এড়িয়ে যান বাটনে ক্লিক করে এই অপশনটি বাদ রাখতে পারেন। তবে আমি বলবো অবশ্যই একটি পাসওয়ার্ড সেট করে নেবেন।

পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ২ নং ছবির মত পেজ আসবে। সেখানে একটি ইউজার নেম এবং একটি পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে। তবে ইউজার নেম না দিতে চাইলেও ক্ষতি নেই। শুধু পাসওয়ার্ড টাইপ করে আপডেট বাটনে ক্লিক করে দেবেন। 

আপডেট বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে পেজটি লোড হয়ে এনআইডি একাউন্ট ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে।

Nid Card Download করুন

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

Nid Account ড্যাশবোর্ডে আসার পর সেখানে আপনার ছবি, নাম, ঠিকানাসহ প্রোফাইল, রিইস্যু, স্মার্ট এনআইডি স্ট্যাটাস চেক এবং ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন। Nid Card Download করার জন্য ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন।

Nid Card

তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে। ভোটার আইডি কার্ডটি পিডিএফ ফরমেটে থাকবে। পিডিএফ ফাইলটি সেভ করে সংরক্ষণ করবেন। আর একটি কপি নিকটস্থ কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করার পর লেমিনেটিং করে নেবেন। 

Nid Card এর পিডিএফ কপিটি সংরক্ষণ করলে কিছু সুবিধা রয়েছে। যদি কখনো প্রিন্ট করা Nid Card টি হারিয়ে যায় তাহলে পুনরায় আবার প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। কিন্ত যদি পিডিএফ ফাইলটি নিরাপদে রেখে না দেন তাহলে Nid Card হারিয়ে গেলে ২৩০ টাকা সরকারি ফি জমা দিয়ে রিইস্যু আবেদন করে তুলতে হবে।

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় যে, অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা তেমন কঠিন কিছু না। নিজেই কাজটি করা যায়। তাছাড়া এর কিছু সুবিধাও রয়েছে। যেমন Online Nid Card pdf ফরমেটে থাকে বিধায় ইচ্ছা মত অনেকগুলো কার্ড তৈরী করে রেখে দেয়া যায়। যাতে ভবিষ্যতে একটি কার্ড হারিয়ে গেলেও সরকারি ফি জমা দিয়ে নতুন Nid Card তোলা লাগে না।  

এই ছিলো Nid Card Download করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আশা করি এখন নিজেই কাজটি করতে পারবেন। তারপরও যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন